বুধবার রাজধানীতে মহিলা দলের এক দোয়া মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি বলেছেন, “সরকার বিএনপির নাম শুনলেই ভয়ে আঁতকে উঠছে। কারণ তারা জানে, এই সরকারের পায়ে নিচে কোনো মাটি নেই। যে কোনো মুহূর্তে গণজাগরনের মধ্য দিয়ে, জাতীয়তাবাদী শক্তির জাগরণের মধ্য দিয়ে এ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবে।”
গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মোট ১১টি বাস পোড়ানো হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ মোট ১৬টি মামলা করেছে, যাতে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সেলিমা রহমান বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সেদিন শুধুমাত্র যুবদলের একটা মিছিল ছিল, সেজন্য তারা হয়ত অফিসের নিচে অবস্থান করছিল, উপরে একটা প্রেস ব্রিফিং চলছিল। আমাদের কোনো রকমের কর্মসূচি ছিল না।”
তারপরও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিএনপির ৪/৫ শ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মামলা দিয়ে আজকে হয়রানি করছে।”
“আজকে ইশরাক হোসেন বলেছেন, আইসোলেশনে আছেন কতদিন যাবত, তিনি অসুস্থ। তাকে পর্যন্ত একটি মামলায় এক নম্বর, আরেকটায় তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। এই হলো বর্তমান সরকারের অবস্থা।”
সরকারের ‘দুঃশাসন’ খেকে মুক্ত হতে সকলকে ‘ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ আহ্বান জানান সেলিমা রহমান।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “বাংলাদেশ আজকে সব দিক থেকে অসুস্থ, এই দেশ দুর্নীতির দিক থেকে অসুস্থ, এই দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে অসুস্থ, স্বাধীনতার যে মূলমন্ত্র ছিল, যে ঘোষণা ছিল- সাম্য ও মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের, সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ অসুস্থ। বাংলাদেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। অসুস্থ বাংলাদেশকে সবার আগে সুস্থ করে তুলতে হবে।”
২০০৯ সালের কাউন্সিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্লোগান নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন- ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে আলাল বলেন, “তিনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে, দেশ অসুস্থ হবে। এদেশের মানুষ অবহেলা-অযত্নে মারা যাবে…। দেশকে বাঁচাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
খালেদা জিয়া, মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের আশু রোগমুক্তি কামনায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল হয়।
মহিলা দলের সহসভাপতি নুরজাহান মাহবুবের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় বিএনপির নেওয়াজ হালিমা আরলি, নিলোফার চৌধুরী মনিসহ মহিলা দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।