মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার পার্টি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল স্মরণসভায় তিনি বলেন, “পত্রিকার পাতায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুল্লেখ অথবা দায়সারাভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ভূমিকা ‘প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করে তাকে খাটো করে দেখবার অবকাশ নাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা প্রভাবকের, ক্ষেত্র বিশেষে নির্ণায়কের। তাকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা যায় না।”
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “মওলানা ভাসানী ছিলেন বিশ্বনেতা। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেছেন, সেই সকল দেশের নেতাদের সাথে বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন।
“তিনি যেমন কৃষকের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন তেমনি শ্রমিকের অধিকার আদায়ের জন্যেও লড়াই করে গেছেন।”
সভায় অন্যদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সকালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি টাঙ্গাইল জেলার পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।