জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে বাস পুড়িয়েছে বিএনপি: কাদের

নেতিবাচক রাজনীতির কারণে নির্বাচনে প্রত‌্যাখ‌্যাত হওয়ায় জনগণের ওপর প্রতিশোধ হিসেবে বিএনপি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2020, 11:26 AM
Updated : 14 Nov 2020, 11:26 AM

শনিবার ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায়, তখন একটি অশুভ চক্র নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। উন্নয়নবিরোধী এই অপশক্তি ক্ষমতায় যেতে চোরাগলি খোঁজে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। নানা আন্দোলনের অপপ্রচার হচ্ছে। জনগণ তাদের অপপ্রচার নিয়ে সচেতন বলে আমরা মনে করি।

“তারা আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা বলেছেন সরকারের এজেন্টরা নাকি বাসে আগুন দিয়েছে। দেশ যখন শান্তিপূর্ণভাবে চলে তখন কোনো সরকার কি নিজেরা অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে যারা ক্ষমতায় আছে? এটা বিএনপির সেই পুরোনো কৌশল। ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার পর এই বিএনপি বলেছিল শেখ হাসিনা ভ‌্যানিটি ব‌্যাগে করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।”

জনগণ বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি প্রত‌্যাখ্যান করেছে, সেই কারণে তারা নির্বাচনে পরাজিত হয় মন্তব‌্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তাই তারা জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে পুরোনো খেলা আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। কর্মসূচির নামে জনগণের শান্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর সমুচিত জবাব দেবে।”

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নিকট অতীতেও তারা পেট্রোল বোমা এবং আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল। ২০১৩ সালে যাত্রীবেশে বাসে উঠে গান পাউডার দিয়ে যেভাবে আগুন দিয়েছে, এবারও তারা সেভাবেই আগুন দিয়েছে। বাস পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে, সবই পুরনো এবং চেনামুখ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ফোনালাপের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে পুলিশ।”

সরকারের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র থেকে সজাগ থাকার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, “শক্তিশালী ও গণমুখী সংগঠনের সাংগঠনিক ঐক‌্যের বিকল্প নেই। নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে হবে। জেলা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে জেলার দায়িত্বে থাকা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই।”

সম্মেলনের মাধ‌্যমে কমিটি গঠন করতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা জানিয়ে তিনি বলে, “নিজের লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে না। পকেট কমিটি করা যাবে না। নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের দিয়ে সংগঠন করতে হবে। কারণ ত্যাগীরাই দলের দুঃসময়ে পাশে থাকে। অপরাধী, চাঁদাবাজ, দখলদার, মাদকসেবী, মাদক ব‌্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, নারী নির্যাতন কারীদের দলে ঠাঁই দেওয়া যাবে না। ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্তদের শুধু রাজনৈতিক আশ্রয়ই বন্ধ নয়, এ সকল ঘৃণ্য অপরাধীদের জন‌্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ।”