বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দুটি আসনের উপনির্বাচনের ভোটকেন্দ্র দখলের ঘটনাবলী আড়াল করতেই ক্ষমতাসীনরা রাজধানীতে বিভিন্ন গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ আসনের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। দুটি আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।
ভোটগ্রহণ চলার মধ্যে ঢাকায় নির্বাচনী এলাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে অন্তত নয়টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভোটগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করতেই এ নাশকতা বলে পুলিশের দাবি।
ফখরুল বলেন, “ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ন্যক্কারজনক ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি, অনিয়ম, কারচুপি, সন্ত্রাস, বিরোধী দল তথা ধানের শীষের প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া ও যারা প্রবেশ করেছিল ভোট শুরু হওয়া মাত্রই মারধর করে বের করে দেওয়া, আওয়ামী লীগ কর্তৃক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ভোটকেন্দ্র দখল ও অবরোধ করে সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা ও জনগণের ভোটের অধিকার হরণের চিত্র আড়াল করার লক্ষ্যে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে।”
বাসে আগুনের ঘটনাকে ব্যবহার করে বিএনপির উপর নতুন নিপীড়ন নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ফখরুল।
“সরকার এসব দুষ্কর্মের মাধ্যমে পূর্বের মতোই বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করা ও এর দায়-দায়িত্ব বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চাপিয়ে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করে হয়রানী করতে চায়।”
“বিএনপি সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, এধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে বিএনপি কখনোই জড়িত নয়। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে নয়, বরং জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজনীতি করে,” বলেন তিনি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন দলটির মহাসচিব।
নয়া পল্টন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুকসহ কমপক্ষে ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
“কার্যালয় থেকে যারাই বের হচ্ছেন কিংবা প্রবেশ করছেন সবাইকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”