বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের অবস্থান

ঢাকার একটি আসনে উপ নির্বাচন চলার মধ্যে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে; প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাঁজোয়া যান ও জলকামানের গাড়ি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2020, 11:38 AM
Updated : 12 Nov 2020, 11:52 AM

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কিছু এলাকা গঠিত ঢাকা-১৮ আসনে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোটকেন্দ্র ‘দখল’, ধানের শীষের এজেন্টদের ‘বের করে দেওয়া’ এবং সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্র ‘ঢুকতে না দেওয়ার’ অভিযোগ করেন ।

তার আগে বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ মিছিল বের করে নেতা-কর্মীরা। মিছিলের পর তারা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

এরই মধ্যে নয়া পল্টনে আনন্দ ভবনের কাছে আয়কর কার্যালয়ে সামনে আয়কর বিভাগের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ২টার মধ্যে শাহবাগ, গুলিস্থান গোলাপশাহ মাজার, মতিঝিল, সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেইটের সামনে প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় আরও পাঁচটি বাসে আগুন দেওয়া হয় বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর পুলিশ নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে নেতা-কর্মীরা অলি-গলিতে সরে যান। এরপর পুলিশ রাস্তার ওপর লাইন ধরে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে।

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ দপ্তর সস্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ের ভেতরেই আছেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “ঢাকা শহরের বিভিন্ন দিকে বাসে আগুন দেয়া হচ্ছে। তাই পল্টনে বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।”