বুধবার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ধানমণ্ডিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, “জনগণের সুখ-দুঃখ বুঝে জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। জনগণের উপর জুলুম, অত্যাচার এবং চাঁদাবাজি করে যুবলীগের রাজনীতি করা যাবে না।
“যেকোনো মুহূর্তে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে।অনুপ্রবেশকারী দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের যুবলীগে কোনো জায়গা হবে না।”
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, “সন্ত্রাস, মাদক এবং চাঁদাবাজমুক্ত একটি সংগঠন গড়ে তোলাই যুবলীগের এখন চ্যালেঞ্জ।”
দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনিসহ পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেন তারা। এ সময় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশ-বিদেশের প্রতিটি ইউনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করছে। এছাড়াও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
সর্বশেষ ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক। তারপর ছয় বছর নির্বিঘ্নে কাজ করে এলেও সম্প্রতি ক্যাসিনোকাণ্ডে বড় ধাক্কা খান ওমর ফারুক; সেই সঙ্গে সমালোচনায় নাকাল হয় যুবলীগ।
ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে আসেন শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে সামস পরশ।
সংগঠনের ভার পাওয়ার পর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছেন পরশ-নিখিল নেতৃত্বাধীন কমিটি।