জিয়ার গণতন্ত্র ছিল রাতের বেলার কারফিউ গণতন্ত্র: কাদের

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা আখ্যায়িত করে দলটির নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2020, 04:19 PM
Updated : 8 Nov 2020, 04:19 PM

রোববার নিজের সরকারি সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “জিয়া নাকি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। জানতে চাই কোন সেই গণতন্ত্র? তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো রাতের বেলায় কারফিউ গণতন্ত্র।

“জিয়া গণতন্ত্রের পথে হাঁটেননি, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে হত‌্যা করেছেন আমাদের সেনাবাহিনীর সংখ‌্য দেশপ্রেমিক অফিসার ও জওয়ানদের।”

৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিল- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তিনি ঠিকই বলেছেন, ৩ থেকে ৭ই নভেম্বর মধ্যে জাতীয় চার নেতাসহ অসংখ‌্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনাকর্মকর্তা ও সিপাহি হত্যার মাধ্যমে একজন জেনারেলের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন তাদের কাছে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

“যারা একাত্তরে দেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি। এদেশেকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল, তাদের কাছে ষড়যন্ত্র হত‌্যা, ক‌্যু-এর মাধ‌্যমে সাহসী সেনা হত‌্যা স্বাধীনতাই মনে হবে। কিন্তু দেশের মানুষের কাছে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত‌্যা দিবস গণতন্ত্র হত‌্যা দিবস হিসেবে চিহ্নিত হবে।”

শেখ হাসিনার সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংখ‌্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে কোনো ধরনের হামলা শেখ হাসিনার সরকার তড়িৎ ব‌্যবস্থা নিয়েছে, কাউকে ছাড় দেয়নি। এদেশের প্রতিটি সরকারের সময়ে কমবেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে সংখ‌্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে বিএনপির শাসনামলে। কিন্তু শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ শাস্তিমুলক ব‌্যবস্থা নেয়নি।”

সংখ‌্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো কোনো নেতা সরকারের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন মন্তব্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। নাছিমনগর, গাইবান্ধা, রামুসহ প্রতিটি ঘটনায় কঠোর ব‌্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মুরাদনগরের ঘটনায়ও আইনগত ব‌্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, “২০১১ সালে বিএনপির ক্ষমতায় আসার পর কি নির্যাতন চালিয়েছিল তা আমরা ভুলে যায়নি। বিএনপির বিরুদ্ধে বারবার বিরূপ সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু তাদের নেতারাই আসলে বাধ্য করে।

“তাদের অবিরাম বিষোদ্গার আর মিথ‌্যচার, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলা এবং এর জবাব দেওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব। আপনি আমার বিরুদ্ধে মিথ‌্যচার করবেন, কল্পিত অভিযোগ করবেন, সেটার জবাব তো আমার দিতে হবে। তবে জবাব দিতে গিয়ে খারাপ ভাষা বা বক্তিগত আক্রমণ করি না, যুক্তিসঙ্গতভাবে আমরা জবাব দেই।”