শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি এই দিনকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। অথচ প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি যে কর্নেল তাহের বন্দীদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকেও জিয়া পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন।
“হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই যে বিএনপির অভ্যূদয়, তা তারা এ দিনটি যেভাবে পালন করে তাতেই প্রমাণ হয়, এদিনই আসলে জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “জিয়া প্রথমে তার মনোনীত বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পদে রাখেন, কিন্তু উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা ছিল তার হাতেই। জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়, সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসারদের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন।”
আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে’ ক্ষমতায় টিকে আছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার। পক্ষান্তরে বিএনপিই এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।
“অগণতান্ত্রিকভাবে সেনা ছাউনিতে বিএনপির জন্ম। ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তারা দল গঠন করেছে। আজ যারা বড় বড় কথা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তারা সবাই সেই উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আর গত এক যুগ ধরে আমরা দেখছি, বিএনপি নির্বাচনকে বর্জন করছে, প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা এমনকি নির্বাচন ঠেকানোর নামে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, কিন্তু জনগণ তা হতে দেয়নি।”
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এক মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই এখন লাইফ সাপোর্টে। কারণ তাদের নেতাদের ওপর কর্মীদের আস্থা নেই, আর নেতাদের মধ্যে ঐক্য নেই।”