৭ নভেম্বরের অজানা তথ্য উদঘাটন সময়ের দাবি: কাদের

বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ষড়যন্ত্র করে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “৭ নভেম্বরের বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জেনারেল জিয়া। বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল।

“মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ এর ৩ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিল, যার মধ্যে অনেক কিছুই এখন ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে। ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবী।”

নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে না বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

“ত্যাগী কর্মীদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে, তাদের রাজনীতির পথ মসৃন করতে হবে। কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে। নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে না।

“একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই, সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবি ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয়ে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে।”

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপি এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে, আওয়ামী লীগ নয়।”

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহেদ মালেক ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।