‘ঘরোয়া খেলা’ বন্ধ না হলে সফলতা আসবে না: গয়েশ্বর

বিএনপির অভ্যন্তরে ‘ঘরোয়া খেলা’ বন্ধ না হলে সরকার হটানোর আন্দোলনে সফলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নীতি-নির্ধারকদের একজন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2020, 08:22 AM
Updated : 31 Oct 2020, 11:05 AM

‘ঘরোয়া খেলা’ বলতে তিনি দলের মধ্যে বিভেদ এবং একজনের পেছনে অন্যজনের লেগে থাকাকে বুঝিয়েছেন।

শনিবার ঢাকার নয়া পল্টনে নিজের অফিসে ঢাকা জেলা কৃষক দলের এক প্রতিনিধি সভায় দলের বিভেদের প্রসঙ্গ তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে দল গঠন করেছিলেন, তার সেই রেখে যাওয়া দল ৪২ বছর পরে মানসিকভাবে খণ্ড-বিখণ্ড, সাংগঠনিকভাবে খণ্ড-বিখণ্ড।

“অর্থাৎ দল আছে, কারও সাথে কারও মিল নাই। আমরা ওপেন মাঠে খেলতে পছন্দ করি না, ঘরোয়া খেলতে পছন্দ করি। ঘরোয়া খেলা মানে একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে লাগা, একজন আরেকজনকে খাটো করা, একজন আরেকজনকে ব্যর্থ করা।”

এ কারণেই গত ১২ বছরে বিএনপি আন্দোলনে সফল হতে পারেনি বলে মনে করেন গয়েশ্বর।

“আমাদের কারও সাথে কারও যদি মিল না হয়, তাহলে কর্মফল আদায় করা যায় না। যদি যেতে তাহলে আমরা ১২ বছর রাস্তায় থাকি না। ১২ বছর লাগার কথা না। বাংলাদেশের সিংহভাগ লোক বিএনপিকে পছন্দ করে, যে দল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল, সেই দল পরনির্ভরশীল একটা সরকারকে কিছুই করতে পারতেছে না। বরং তারা (ক্ষমতাসীন) ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় কথা বলে। এটা আপনাদের সহ্য্ করতে ভালো লাগে?”

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরেরে মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব বাড়িয়ে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করার আহ্বান জানান তিনি।

“আপনাদের মনে রাখতে হবে একজন ব্যক্তি যদি ব্যর্থ হয়, পুরো দলটাই ব্যর্থ হয়। সেই কারণে কাউকে ব্যর্থ না করে যদি সকলে একজন আরেকজনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করি, তাহলে আমরা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে এই সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারবো।”

সবার মতামত নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন গয়েশ্বর।

কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক নাজিমউদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, সহসভাপতি তমিজউদ্দিন আহমেদ, কেরানীগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা মোজাদ্দেদ আলী বাবু ও আবদুল মান্নান রতন, কৃষক দলের শরীফুল ইসলাম মোল্লা, মেহেদি হাসান পলাশ, এম জাহাঙ্গীর আলম, মীর মোমিনুর রহমান সুজন উপস্থিত ছিলেন।