ডিজিটাল আইন কবরে পাঠিয়ে দিন: প্রধানমন্ত্রীকে জাফরুল্লাহ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, `ভ্রান্তনীতির’ কারণে দেশ ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2020, 02:28 PM
Updated : 26 Oct 2020, 02:28 PM

সোমবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “যখন সত্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের রুখতে তাদের বিরুদ্ধে এইরকম (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) প্রয়োগ হয়, তখনই ইয়েলো জার্নালিজম হয়।

“সরকারের এহেন ভুল নীতি এবং সরকারের অন্যায় আচরণ আজকে দেশকে বাধ্য করছে ভুল পথে অগ্রসর হতে।”

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, “আমি আবার অনুরোধ করছি, এই ডিজিটাল আইনটা কবরে পাঠিয়ে দিন, এটা বাতিল করুন। এতে আপনার লাভ হবে, দেশের লাভ হবে, দেশের মানুষের লাভ হবে।”

গত নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটকে রাখার কোনো কারণ তিনি ‘দেখেন না’। বিএফইউজের একাংশের সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী কিংবা আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজলকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাও তার কাছে বোধগম্য নয়।

জাফরুল্লাহ বলেন, “সাংবাদিকরা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বন্ধু। তারা আপনার কাছে প্রকৃত সত্য তু্লে ধরেন, সত্য অনুসন্ধান করেন। আমি বলতে চাই, এভাবে জেল-জুলুম করে অন্যায় আচরণের দ্বারা কেউ টিকে থাকতে পারে না। আপনি এখনই সাংবাদিকদের মুক্তি দিন।

“তাদেরকে (সাংবাদিক) বলেন যে, তোমরা প্রাণ খুলে কথা বল, সত্যকে তুলে ধর। এতে দেশ সুশাসনের পথ সৃষ্টি হবে, আপনার লাভ হবে।”

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও সমালোচনা করেন জাফরুল্লাহ।

তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এখনে (জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে) সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীসহ গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুক্তি চেয়েছেন। কিন্তু একবারও তিনি বলেননি যে, উনারা ক্ষমতায় গেলে এই কালো আইন তু্লে দেবেন, এটাকে কবরে পাঠিয়ে দেবেন, মানুষকে কথা বলতে দেবেন।”

মহামারীর মধ্যে সাংবাদিকদের বিশেষ প্রণোদনা দিতেও সরকারের কাছে দাবি জানান বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ।

রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়।

সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, সাংবাদিক আবু ইউসুফ, ডিএম আমিরুল ইসলাম, খন্দকার আলমগীর, জেসমিন জুঁই ও আবু হানিফ বক্তব্য দেন।