‘উন্নয়নমুখী’ জনগণ নস্যাৎ করবে ষড়যন্ত্র: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা অব্যাহত রাখতে জনগণই সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বিএনপির দাবির প্রতিক্রিয়ায় সোমবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের বাসভবনে থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আজকে যে উন্নয়ন-অর্জন তা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশংসিত হচ্ছে। জনগণ এখন উন্নয়নমুখী। সবার চোখে-মুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। যে কোনো অপশক্তির ষড়যন্ত্র জনগণ নস্যাৎ করে দেবে।”

বিএনপি আন্দোলনের কোনো বিষংয় খুঁজে পাচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে নন ইস্যুকে ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করে। কখনও কোটা আন্দোলন, কখনও কোটাবিরোধী আন্দোলনে ভর করে। সর্বশেষ ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে ভর করে সরকারের পদত্যাগ চেয়েছিল, যা হালে পানি পায়নি। এবারও তারা ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতা থেকে তাদের কোনো শিক্ষা হয়নি।”

বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা জানতে চাই, ফখরুল সাহেব যা বলেন তা নিজে বিশ্বাস করতে পারেন কি না।

“আন্দোলনের ঢেউ তারা টেমস নদীর পাড় থেকে গুলশান অফিসে তুলতে পারেন। কিন্তু পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বিধৌত মুজিবের বাংলায় নয়। তাদের আন্দোলনের হাঁকডাক আষাঢ়ের আকাশের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যতটা গর্জে, বাস্তাবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।”

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলে বারবার পুরোনো অভিযোগ করে চলছে। সরকার নাকি ভিন্নমত সইতে পারে না? এদেশর আওয়ামী লীগ পরম সহিষ্ণুতা নিয়ে কাজ করছে। এজন্যই বিএনপি অনবরত মিথ্যাচার করতে পারছে।

“আমরা জানতে চাই, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার কি ভিন্নমত? নাকি রাষ্ট্রকে দুর্বল করা? রাষ্ট্রের ভাবমুর্তি নষ্ট করা, দিনরাত দেশে-বিদেশে বসে অবিরাম দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক বৈঠক, মিথ্যাচার আর গুজব ছড়ানো কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা? না কি প্রবাসের অবস্থানকারী লাখ লাখ বাংলাদেশের জীবন-জীবিকা নড়বড়ে করে তোলা।”

দেশের গণমাধ্যমের উপর সরকার থেকে কোনো চাপ নেই দাবি করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভীতিকর কোনো পরিবেশ নেই। সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। আপনারাও অশ্রাব্য ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত গালিগালাজ করছেন। কারও উপর কোনো চাপ নেই। সমালোচনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার সেই সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।”

কোন গণমাধ্যমের উপর সরকার সমালোচনার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা আপনার পরিষ্কার করে বলেন,” বিএনপির উদ্দেশে বলেন তিনি।

বরং বিএনপির শাসনামলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

“ওই সময়ে সাংবাদিক হত্যার বিচার তো হয়নি। বিচারের নামে হত্যাকারীকে রক্ষা করা হয়েছে। ২০১১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে ৫০ জন সাংবাদিক তাদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। তাদের মুখে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা আসলে ভুতের মুখে রাম রাম।”