সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেউ যেন বিনষ্ট করতে না পারে: কাদের

নিজ ধর্মের অনুশীলনের পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এর মাধ‌্যমে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2020, 10:13 AM
Updated : 25 Oct 2020, 10:13 AM

দুর্গাপূজা উপলক্ষ‌্যে রোববার নোয়াখালীর বসুরহাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে শুভেচ্ছা বিনিময়ে এ কথা বলেন তিনি।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচার চলছে উল্লেখ করে কোনো ধরনের মিথ্যাচার বা উস্কানিমূলক পোস্ট না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ মন্তব‌্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এখানে মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি। পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধায় যে যার ধর্ম পালন করে। আমাদের ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য সুদীর্ঘকালের । একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসি। আমরা কারও প্রতিপক্ষ নই। আমরা প্রতিবেশি, আমরা একে অপরের সহমর্মি।”

সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু বলে আপনারা নিজেদের দুর্বল ভাববেন না । এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প তারাই ছড়ায়, যারা আবহমান কাল থেকে এদেশে চর্চিত সম্প্রীতির বীজতলা নষ্ট করতে চায়। কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করে সাম্প্রদায়িক দূরত্ব বাড়িয়ে দিতে চায়। আমাদের বরাবরের মতো সতর্ক থাকতে।”

বিএনপি শাসনামলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা যে নৃশংসতা চালিয়েছিল, তা একাত্তরে হানাদার বাহিনীর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল। আজ তারা সম্প্রীতির কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। ফাহিমা, মাহিমা, পূর্ণিমা শীলের ধর্ষণের কোনো বিচার হয়নি। বিচার চাইতেও পারেনি তারা।”

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সম্প্রীতি কেউ যেন বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ধর্ষণসহ যেকোনো সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং এসকল ঘৃণ্য অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের পথ বন্ধ করতে হবে। নোয়াখালীতে সম্প্রতি নারীর প্রতি যে অবমাননা ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে, ইতিমধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচারের মাধ্যমে এসকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

“এখনও সারাদেশে যে সকল ঘটনা ঘটছে, প্রতিটি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, দলীয় পরিচয় কোনো অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারেনা। শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধী হিসেবে।”