বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘রুখো আগ্রাসন, হটাও দুঃশাসন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নূরুল হক নুরও ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আজকে আমাদের সরকার এবং কিছু কিছু লোক খুব আনন্দ ভোগ করেন যে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।
“আমাদের দেশের যারা অর্থনীতিবিদ, আমাদের দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান, তারা যে রিপোর্ট করছে এবং পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো যদি পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখছি যে, বাংলাদেশের মাত্র শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের হাতে দেশের ৯৫ ভাগ সম্পদ। কাজেই এই উন্নয়ন কার? এই উন্নয়ন ওই ভাগ্যবান শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।বেকারত্ম বাড়ছে, ভূমিহীন বাড়ছে।তাহলে উন্নয়নটা কোথায়? বড় বড় ব্রিজ, বড় বড় বাড়ি, চমৎকার চমৎকার গাড়ি-এটা তো উন্নয়নের প্রমাণ নয়।
“যে উন্নয়ন সাধারণ মানুষকে সুখ দেয় না। এডিবির একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এশিয়ার ৩০টা দেশের একটা জরিপ করা হয়েছে কোন দেশের মানুষ কতটা সুখি। ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা ২৬। অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে কম সুখি মাত্র চারটা দেশ।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর বলেন, “আপনাকে যখন আঘাত করতে আসবে তখন আপনারও আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে। কত আর মার খাবেন, মার অনেক খেয়েছি। ডু অর ডাই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন।
“রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাব, আজকে আমাদের ক্ষমতার ইকুয়েশন কষার সময় নেই। কারণ দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। যদি দেশে গণতন্ত্র থাকে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি আমরা অন্তুত পরবর্তিতে যারা রাজনীতি করি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখি…। এই সরকার কিন্তু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, পিপলস পার্টির মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফা, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, লেবার পার্টির ফরিদ উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, রামকৃষ্ণ সাহা, ফারুক রহমান, হুমায়ুন কবির, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।