শনিবার সকালে তার মৃত্যু খবর পেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ছুটি আসেন। সেখানে প্রয়াত এই আইনজীবীর মরদেহের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময়ে মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির মজিবুর রহমান ও শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ব্যারিস্টার রফিক-উল হক চলে যাওয়ায় আইন জগতে একটা বিরাট রকমের ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে, এই ক্ষতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়।
“আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করি তিনি যে তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।”
“ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সারা জীবনের যে আয় তার একটা বিরাট অংশ মানুষের সেবার জন্য ব্যয় করেছেন। এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছিলেন, ক্যান্সার হাসপাতালে তার বিরাট অবদান আছে। ডায়াবেটিক হাসপাতালের পুরো আইসিইউ তিনি করে দিয়েছেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল মানুষের সেবায় হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, তার হাত দিয়ে বহু কিছু হয়েছে।”
সেনা সমর্থিথ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ব্যারিস্টার রফিক উল হক শীর্ষ আইনজীবী ছিলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আদ-দ্বীন হাসপাতালের মারা যান রফিক-উল হক।
প্রথম জানাজা
সকাল সাড়ে ১০টায় আদ-দ্বীন হাসপাতাল সংলগ্ন মসজিদে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পল্টনে বাসায়। সেখানে বেলা ১টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।