বুধবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে, সেজন্য তারা ভোট শুরু কিছুক্ষণের মধ্যে ভোট বর্জনের নাটক করে, সরে দাঁড়ায়।"
গত শনিবার ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে যথাক্রমে ১০.৪৩ শতাংশ ও ৩৬.৪৯ শতাংশ ভোট পড়ে। দুই জায়গাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন, অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগে তোলেন।
‘ভরাডুবি বুঝতে পেরে আর নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই’ বিএনপি ভোট বর্জনের ‘অপকৌশল’ নেয় বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, "নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার অপকৌশল জনগণ ধরে ফেলেছে। এজেন্ট দেওয়ার লোকও এখন তারা খুঁজে পায় না। উল্টো দোষ চাপায় এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।"
‘আত্মকেন্দ্রীকতা, অদূরদর্শিতা ও দোদুল্যমানতার’ কারণে বিএনপির নেতৃত্বের ওপর কর্মীরা ‘আস্থা হারিয়ে ফেলেছে’ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, "আস্থাহীনতার প্রমাণ হল- তাদের দেওয়া তালিকাভুক্ত এজেন্টরা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে আসে না। মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ করে রাখে। এসব জেনেও তারা মিথ্যচার করে সরকারের বিরুদ্ধে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।”
উপ নির্বাচনগুলোর ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, "উপ নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের বিষয় নেই, তাই জাতীয় নির্বাচনের মত ভোটার উপস্থিতি ঘটে না। অনেকে করোনার কারণেও আসে না।
“এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত সক্রিয় থেকে দুয়েকটি ঘটনা ঘটিয়ে ভোটের দিন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক নিস্ক্রিয়তা দেখায়। এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যে, তাদের ভোটারও আসে না।"
তারপরও নওগাঁ ও পাবনার সাম্প্রতিক নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভোটার উপস্থিতি ছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা বার বার ঢাকা ৫ এর কথা বলে, কিন্তু গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির কথা বলে না।"
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, "তারা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা বলছেন। আমি বিএনপিকে তাদের সময়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। যে সময়ে নির্বাচন মানেই ছিল সংঘাত আর প্রাণহানি। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ঘটেছে অসংখ্য জীবনহানির ঘটনা। এখন সেই নির্বাচনী সংঘাত নেই।"