পাশাপাশি উন্নয়ন ফি গ্রহণ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন এবং নীতিমালা প্রণয়নের আগ পর্যন্ত সব ধরনের উন্নয়ন ফি ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনারও দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।
বুধবার দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এই স্মারকলিপি দেন। এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। দীর্ঘ এ ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক, চিকিৎসাজনিত ও অনলাইন ক্লাস সংক্রান্ত সমস্যায় দিনাতিপাত করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অনুষদে পৃথকভাবে বার্ষিক সেমিস্টার ভিত্তিতে উন্নয়ন ফি গ্রহণ করা হয়, যা বিভিন্ন রকম সহ-পাঠ্য কার্যক্রম ও আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় করা হয়ে থাকে।
“আমরা মনে করি, বিদ্যমান বাস্তবতা ও শিক্ষার্থীদের চলমান সঙ্কটের আলোকে চলতি শিক্ষাবর্ষে উন্নয়ন ফি গ্রহণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থি। পাশাপাশি মহামারীর করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সহ-পাঠ্য কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভবপর না হওয়ায় এ বছর উন্নয়ন ফি গ্রহণ কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই বিষয়টা নিয়ে তারা আগেও কথা বলেছে। আজকে স্মারকলিপি দিয়েছে। আমরা বিষয়টা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলব ।”