খুলনায় গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি সিপিবি-বাসদের

খুলনায় আটরায় রাষ্ট্রীয় পাটকল চালু ও আধুনিকায়ন করার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ‘পুলিশি আক্রমণের’ নিন্দা এবং গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2020, 08:02 PM
Updated : 19 Oct 2020, 08:02 PM

সিপিবি বলছে, সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ পাটকল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় খুলনার ইস্টার্ন জুট মিলের ভেতরে শ্রমিক কলোনিতে ঢুকে পুলিশ নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে ‘শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে’।

পুলিশের লাঠিপেটায় ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী)  সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, ইউসিএলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সিপিবি নেতা এস এম চন্দনসহ ‘শতাধিক নেতাকর্মী’ আহত হয়েছে।

এছাড়া খুলনার কর্মসূচি থেকে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক আইনজীবী কুদরত-ই-খুদা, সদস্য সচিব ও সিপিবি নেতা এস এ রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাসদ নেতা জনার্দন দত্ত নান্টু, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, শ্রমিক নেতা অলিয়ার রহমান, ছাত্র ফেডারেশনের নেতা আল-আমিন শেখ, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা মুনীর চৌধুরী সোহেলসহ ২০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকারের এই ধরনের আচরণ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনেরই বহিঃপ্রকাশ।”

বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, “পুলিশ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারি কায়দায় অবরোধে হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, ইস্টার্ন মিলের কলোনিতে প্রবেশ করে নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে ঘর থেকে বের করে নির্যাতন চালায়। কলোনির ভেতরে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করায় দমবন্ধ করা পরিবেশ তৈরি হয়।

“শান্তিপূর্ণ অবরোধে বর্বর হামলা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রকেই উন্মোচন করছে।”

সিপিবি ও বাসদ নেতারা অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, ‘হামলাকারী’ পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানান।