নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে সরকার: ফখরুল

আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2020, 10:05 AM
Updated : 19 Oct 2020, 10:05 AM

সোমবার দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন এখন একটি তামাশায় পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই ফ্যাসিস্ট সরকার, যাদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই, জনবিচ্ছিন্ন, তাদের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

“আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলেছি, আর টালবাহানা করবেন না, পদত্যাগ করুন। অতীতের সকল নির্বাচনকে বাতিল করে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করুন। এটাই একমাত্র সমাধান।”

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে এই কর্মসূচি সারা দেশে মহানগর ও জেলাও একযোগে হচ্ছে। মঙ্গলবার হবে উপজেলা-থানায়।

ঢাকার উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বললেও তা খারিজ করে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা মনে করি ৫% ও ভোট পড়ে নাই।”

‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কথাটা উনি মিথ্যা বলেননি। এই নির্বাচনতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে ২০১৪ সাল থেকে, যখন আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন।

“এই সরকারের অধীনে মানুষের জীবন নিরাপদ নয়, এই সরকারের অধীনে মানুষের মানবাধিকার নিরাপদ নয়। তার প্রমাণ দেখেছেন, আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে না। ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে বাংলাদেশে এবং তার জন্য দায়ী কে? এই সরকারের ব্যর্থতা।”

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের সঙ্গে কারো মিল না হলে তাদের তারা গুম করা বা হত্যা করা হচ্ছে। কোনো কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তারা যাকে-তাকে গুলি করে হত্যা করে।

“তাদের সঙ্গে যদি পসরা না মিলে তখন তাদের ক্রসফায়ার করে সন্ত্রাসী বলে, জঙ্গি বলে অথবা মাদক ব্যবসায়ী বলে তাদেরকে হত্যা করে।”

বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম নকি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ত রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন দেন।