খালেদা জিয়া ‘মুক্ত নন’: ফখরুল

সরকারের নির্বাহী আদেশে দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারাপসন খালেদা জিয়ার সাজা সাময়িক স্থগিত থাকলেও ‘তিনি মুক্ত নন’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2020, 11:19 AM
Updated : 18 Oct 2020, 11:19 AM

রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তার এমন মন্তব্য আসে।

ফখরুল বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্ত নন। শি ইজ নট ফ্রি। এই যে বলা হচ্ছে যে, উনার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সাজা স্থগিত হলে তো তার ওপর কোনো বিধি-নিষেধ থাকার কথা না।

“ডিফারেন্সটা হচ্ছে, শুধু মাত্র হাসপাতাল থেকে তাকে তার বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওখানে তিনি হোমলি পরিবেশের মধ্যে আছেন, যেটাকে সোজা কথা বললে বলা যায়- এটা হচ্ছে যে, গৃহে অন্তরীণ করা।”

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তার পরিবারের আবেদনে পরে তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়।

তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৫ বছর বয়সী খালেদা। বহু বছর ধরেই তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।

তার শারীরিক অবস্থা ‘ভালো নয়’- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকনের এ বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রোববারের সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলছি যে, ম্যাডাম অসুস্থ। আমরা যেটা চেয়েছিলাম, তার একটা অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট। কারণ এখানে ডাক্তার যারা আছেন, তারা বলছেন যে, তার অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট দরকার। সেজন্য অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট সেন্টার দরকার। সেটা তো আমাদের এখানে নাই।

“ট্রিটমেন্ট আছে হয়ত, কিন্তু সেই ট্রিটমেন্টের জন্য আনুসাঙ্গিক যে ব্যাপারগুলো আছে- রক্ত পরীক্ষা, অন্যান্য পরীক্ষা, একটা থেরাপি দেওয়ার পরে তার ফলোআপ, সমস্ত বিষয়গুলো, সেগুলো এখানে পরিপূর্ণভাবে নেই। আমাদের যুগ্ম মহাসচিব সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক (খোকন) যেটা বলেছেন, কথাটা তো সত্যি বলেছেন। শি ইজ রিয়েলি সিক।”

খালেদা জিয়া বাসায় থাকলেও দলের নেতা-কর্মীরা নিয়মিত তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাচ্ছেন না। শুধু তার ভাই-বোনসহ নিকট আত্মীয়রাই দেখা করতে পারছেন।