নানা কর্মসূচিতে মালেক উকিলকে স্মরণ

আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক স্পিকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল মালেক উকিলের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচিতে তাকে স্মরণ করা হয়েছে নোয়াখালীতে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 08:52 AM
Updated : 17 Oct 2020, 11:12 AM

শনিবার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের নেতারা মাইজদীতে কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে মালেক উকিলের কবর জিয়ারত করেন এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনীর (বিএরএফ) প্রধান সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আবু তাহের, সদর উপজেলা আওযামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মালেক উকিলের কবরে ফুল দেওয়া হয়।

বিকাল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিলাদ ও আলোচনা সভা হবে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায় ও আবদুল মালেক উকিল ডিগ্রি কলেজ এবং মাইজদীতে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবেও মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।

মালেক উকিল ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে নোয়াখালী থেকে সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।

১৯৭২ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৎকালীন নোয়াখালী-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং নতুন মন্ত্রিসভায় তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৭৫ সালে তিনি জাতীয় সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হন।

১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের দ্বাদশ সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মালেক উকিল। এরপর ১৯৮১ সালে ত্রয়োদশ সম্মেলনে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন মালেক উকিল ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ১৯৮৬ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮৭ সালের ১৭ অক্টোবর মালেক উকিল মারা যান।