বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই ধরনের আক্রমণ নিঃসন্দেহে সুপরিকল্পিত ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে ভীত সন্ত্রস্ত করে সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করারই নীলনকশা।
“নির্বাচন, প্রশাসন, আইন-আদালতসহ সব কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবেই এই অবৈধ সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই ধরনের হামলা সংঘটিত করেছে। এই হামলা সরকারি আধিপত্য বিস্তারেরই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। আমরা এহেন ঘটনার নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিএনপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীতে এক নির্বাচনী পথসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য দেওয়ার সময়ে শহীদ ফারুক সড়কের দিক থেকে আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী হামলা চালায়। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রাবাড়ী ছাত্র দলের রফিকুল ইসলাম, সুমন নাথ সরকারসহ ১০ থেকে ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “সরকার মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে উপেক্ষা করে জনগণকে প্রান্তিক পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছে। তাদের মদদে সমাজের সর্বত্র চলছে বেআইনি সন্ত্রাসীদের আধিপত্য। চোখ রাঙানি দিয়ে সরকার জনগণকে শাসন করতে চায়।
“গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচারকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। এ জন্যই যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্ত ঝরাচ্ছে। মানুষকে ভয় ও শঙ্কার মধ্যে ডুবিয়ে রেখে দেশ শাসন করতে চায় বলেই তারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না।”