মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে বেরিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন' সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার এবং তা অধ্যাদেশ আকারে জারির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মঙ্গলবার সই করার পর সেই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় সমাবেশে বলেন, “আমরা ধন্যবাদ জানাই, আমাদের যে অনুরোধ ছিল প্রাণপ্রিয় নেত্রীর কাছে, তিনি তা রেখেছেন।"
তিনি দাবি করেন, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার জন্য ছাত্রলীগই ‘সবার আগে’ মাঠে নেমেছিল।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, "জনগণের আবেদনে ছাত্রলীগই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদণ্ডের জন্য লিগ্যাল নোটিস দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা তাতে সাড়া দিয়েছেন। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।"
অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।