রোববার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে এ সতর্কবানী শোনান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বার বার আন্দোলনের ডাক দিয়েও জনগণের সাড়া পায়নি। তাদের ডাকে মানুষের আস্থা নেই। এরপরও বারবার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। মানুষের সাড়া না পেয়ে একবার কোটা আন্দোলন, অন্যবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওর ভর করেছিল। এখন ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ওপর তারা ভর করেছে।
“বিএনপি যত অপচেষ্টাই করুক তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় রূপান্তরিত হবে। সরকার নারী নির্যাতনসহ যে কোনো অপরাধের কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনগণের সম্পৃক্ততা যদি কোনো আন্দোলনে না থাকে তাহলে সেই আন্দোলন ব্যর্থ হতে বাধ্য।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকার কোনো বাধা দেবে না। কিন্তু আন্দোলনের নামে পরিস্থিতি নষ্ট করতে চাইলে, সহিংসতা ছড়ালে; জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার কঠোর হতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অপরাধীরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে, বিচারও দ্রুত হবে। কঠোর বিচারের জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।”