ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে ওবায়দুল কাদেরও

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার যে দাবি উঠেছে, তাতে সমর্থন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2020, 11:09 AM
Updated : 7 Oct 2020, 11:09 AM

ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যে বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “এদের ছোটখাটো লঘু দণ্ড দিয়ে লাভ নেই। সর্বোচ্চ বিচারের যে দাবি উঠেছে, আমার মনে হয় এটা অযৌক্তিক নয়। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে আপসহীন মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”

ধর্ষক যেন কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় না পায় সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেছেন, “যে সকল অপরাধী বা ধর্ষক এ সকল ঘৃণ্য কাজ করছে, তাদের জন্য শাস্তিই শেষ কথা নয়, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ছায়ায় থাকলে তাদের চিরতরে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ধর্ষণকারী যেন কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয় এবং ধর্ষকদের যেন কোনো রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় না দেয়।”

দুপুরে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সড়ক ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনার শাসনামলে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “উন্নয়নের গতি ধরে রাখার পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ, দুর্নীতি, অনিয়ম, বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারে অবস্থান স্পষ্ট। দুর্নীতি-অনিয়ম করে যেমন কেউ ছাড় পায়নি, তেমনি নারীর প্রতি, শিশুদের প্রতি অন্যায়ের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে।

“যেখানে যেই ঘটনাই ঘটুক কোনোটাকেই সরকার ছাড় দেয়নি। অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে, বিচার কাজ চলমান রয়েছে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার। কোনোটির রায় ইতোমধ্যে হয়েছে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “দুর্নীতি ও অপকর্মের মূলোৎপাটনে শেখ হাসিনার কোনো পিছু টান নেই্। নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীর অবমাননা, মাদক, সাইবার অপরাধ, গুজব ছড়ানো এই সব অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে, গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। এসব নষ্ট রুচির অপরাধীদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।”

দেশে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে বলেই ধর্ষণ বাড়ছে’ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার কঠোর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের।

তিনি বলেন, “বিচার শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। এর আগে কোনো অপরাধের বিচার হয়নি। তার আগে ফাহিমা, মুন্নি পূর্মিাদের কথাই ভাবুন। একটি ঘটনারও কি বিচার হয়েছে? একটি অপরাধেরও কি দণ্ড দেওয়া হয়েছে? বিএনপির দলীয় লোকদের একটিরও কি বিচার হয়েছে? তাদের মুখে এটা শোভা পায় না।

“বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, দেশে না কি গণতন্ত্র নেই। আমরা বলতে চাই প্রতিদিন গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ‘ফ্রি স্টাইলে’ তারা বিষোদগার করছে। গণতন্ত্র না থাকলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা এভাবে অবিরাম মিথ্যাচার করতে কি পারতেন, তাদের দলের কাউকে কি জেলে যেতে হচ্ছে?

“গণতন্ত্র আছে বলেই, তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন। এমনকি গঠনমূলক না হয়ে বিরূপ আচরণ করছেন। মিথ্যাচারের পুরনো ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে অবাধ মিথ্যাচার অপরদিকে গণতন্ত্র নেই বলে তারস্বরে মিথ্যাচার করছেন, যা বিএনপির স্বভাব সুলভ দ্বিচারিতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের অন্ধ সমালোচনা এখন বিএনপির রোজনামচা।”