কেন তাদের গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া রোববার বিডিনি্উজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিন বলেন, “গণফোরোমের নামে কতিপয় ব্যক্তির উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড আমাদের নজরে এসেছি। চারজনকে আমরা বিধিসম্মতভাবে দল থেকে বহিষ্কার করতে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর।
“৭ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে আমরা আরও ৭ দিন অপেক্ষা করে গঠনতন্ত্র মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
গত ২৬ সেপ্টেম্বর গণফোরামের ব্যানারে সভা ডেকে মন্টু, আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরীরা দলের কাউন্সিলের ঘোষণা দেন।
রেজা কিবরিয়াকে নিয়ে আপত্তি থাকলেও সভাপতি কামাল হোসেনকে নেতা হিসেবে মানতে তাদের অনাপত্তির কথা জানান। তবে কামাল হোসেন বলেছেন, ও্ই সভার সঙ্গে গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই।
রেজা কিবরিয়া বলেন, “যে কোনো ব্যক্তি গণফোরামের রাজনীতি ত্যাগ করে নতুন কোনো রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু গণফোরামেরে নামে অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণফোরামকে বিব্রত করার এখতিয়ার কারও নেই।”
কামাল হোসেন প্রতিষ্ঠিত গণফোরামের গত কমিটিকে আবু সাইয়িদ ও সুব্রত চৌধুরী নির্বাহী সভাপতি, মোস্তফা মহসিন মন্টু সাধারণ সম্পাদক ও জগলুল হায়দার আফ্রিক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
গত বছর কাউন্সিলে মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করার পর থেকে গণফোরামে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। রেজা কিবরিয়ার বিপক্ষে দাঁড়ান মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আবু সাইয়িদরা।
এক পর্যায়ে রেজা কিবরিয়া চারজনকে বহিষ্কার করেন। সুব্রত চৌধুরীরাও পাল্টা বহিষ্কার করেন সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়াসহ চারজনকে।
পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্যে গত ৪ মার্চ গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। তিনি নিজে আহ্বায়ক হয়ে সাধারণ সম্পাদক করেন রেজা কিবরিয়াকে।
তবে তাতে না দমে বর্ধিত সভা ডেকে আবু সাইয়িদ-মন্টুরা কাউন্সিলের পথে এগোনোয় দলটিতে ভাঙন এখন নিশ্চিত।