‘মৃত্যু’র বদলে ‘প্রয়াণ’ রিজভীর চোখে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

‘মৃত্যু দিবসের’র বদলে ‘প্রয়াণ দিবস’ ব্যবহারকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার সমর্থক ‘সংস্কৃতিজীবীদের’ বিরুদ্ধে ঐতিহ্য ধ্বংসের অভিযোগ তুলেছেন রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2020, 12:28 PM
Updated : 30 Sept 2020, 12:28 PM

বুধবার দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, “এখন বলা হয় প্রয়াণ দিবস। আমরা ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি মৃত্যু দিবস। আমরা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কেউ মারা গেলে তাকে মরহুম বলে। এখন প্রয়াত বলা হয়। এটা খুব সুক্ষ্ণভাবে এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনগুলো বিস্তার লাভ করাচ্ছে। কার স্বার্থে করছে তা নিশ্চয় জানেন?

“কোন সংস্কৃতিকে অঙ্গীভূত করার জন্য এই সরকার এবং তাদের অনুগত সংস্কৃতিজীবীরা কলাম লেখকরা এই কাজটি করছে সেটা আপনারা স্পষ্টভাবে জানতে চান। ওরা আমাদের দীর্ঘদিনের যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এটাকে ধবংস করে, অন্য কোনো দেশের সাংস্কৃতিক অনুসঙ্গ বানাতে চান, এর অঙ্গীভূত বানাতে চান। সেই কারণে আজকে তারা এই কাজগুলো করছে।”

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সাংস্কৃতিক সংগ্রামের ওই পরজীবীদের যদি আমরা প্রতিহত করতে না পারি দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না, স্বাধীনতা থাকবে না।”

‘ইনডেমনিটি’ নামে নাটকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা ঢাকার আদালতে খারিজ হওয়ার সমালোচনা করেন তিনি।

রিজভী বলেন, “এই সরকারের আমলে এই মামলা ওরা কখনোই এটা টিকতে দেবে না। কারণ কোর্ট তাদের, আদালত তাদের। এই আদালতগুলোকে তারা (সরকার) কসাইখনায় পরিণত করেছেন বিরোধী দলকে দমন করার জন্য, শাস্তি দেওয়ার জন্য।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের উদ্যোগে ‘জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা কুৎসা রটনার জন্য নির্মিত নাটক ইনডেমনিটি গণমাধ্যমে প্রচারের প্রতিবাদে’ এই মানববন্ধন হয়।

জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির আমিনুল ইসলাম, জাসাসের আহসান উল্লাহ চৌধুরী, লিয়াকত আলী, শাহরিন ইসলাম শায়লা, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, আজিজমূল তৌহিদ, মীর সানাউল হক, জাহিদুল আলম হিটো, জাকির হোসেন রোকন বক্তব্য দেন।