শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলই এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশকে: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2020, 07:58 PM
Updated : 29 Sept 2020, 08:15 PM

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার 'তারুণ্যের অনুপ্রেরনা শেখ হাসিনা' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি।

শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এই ওয়েবিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য সানজিদা খানম যুক্ত ছিলেন।

হানিফ বলেন, “প্রচণ্ড শোক সইবার ক্ষমতা আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দুই হাত তুলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এসেছি আমার পিতা-মাতা হত্যার বিচার চাইতে’। তার মধ্যে যে দৃঢ়তা ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে আমরা তা দেখতে পেয়েছি।

“১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে, জিয়াউর রহমানে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, নানা বাধা বিপত্তির মধ্যেও তিনি পিছপা হননি।”

হানিফ বলেন, “অনেক বাধা অতিক্রম করে শেখ হাসিনা এগিয়ে চলছেন। অনেক বাধার মুখেও শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কমিটমেন্ট এবং তার মনোভাব এবং বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। তার কূটনৈতিক দক্ষতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছে দেশকে।”

শেখ হাসিনা এখন মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “কীভাবে সমস্যাকে সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, সেটার উদাহরণ শেখ হাসিনাই। মানুষের জীবনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে শেখ হাসিনা অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।

“দেশে দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাসসহ নানা দুর্যোগ মোকাবেলা করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যে দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে দেশকে এখন উন্নত শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন সেটা একমাত্র তার দ্বারাই সম্ভব।”

তরুণ প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার গুরুত্ব তুলে ধরে হানিফ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কাজ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেগুলো তুলে ধরলে তারা অপশক্তি সম্পর্কে জানতে পারবে।”

শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, “বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। আর সেই কারণে আজকে বাংলাদেশ নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। এবং এর পেছনে শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্ব। আর নারী শিক্ষার অগ্রগতির কারণেই দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা অসাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে জানতে পেরেছে তরুণ প্রজন্ম।”

তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “২০০৮ সালে যদি আমরা খেয়াল করি- মাত্র ৫৬ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, সেই যায়গা থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের সম্পৃক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন এবং তিনি সফল।

“এখন দেশে ১০ কোটির অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। দেশের ইউনিয়নগুলো ডিজিটাল হাবে পরিণত হয়েছে। ৫ হাজার ৮৬৫টি ডিজিটাল সেন্টারে ১১ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে। সাড়ে ৬ লক্ষ আইটি ফ্রিলেন্সার রয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণেই।”