এমপি রতনের ব্যাংক নথি তলব করেছে দুদক

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার স্ত্রীর নামে থাকা সব ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2020, 02:58 PM
Updated : 28 Sept 2020, 02:58 PM

এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) মহাব্যবস্থাপক বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার স্ত্রী মাহমুদা হোসেন লতার যাবতীয় ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দুদকের ওই কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এসব তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।”

বিআইএফইউতে দুদকের চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জের এলাকার সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আমার যাবতীয় কাগজপত্র তাদের (দুদক) কাছে জমা দিয়েছি। তারা এখন আমার নথিপত্রের সাথে অন্যান্য নথিপত্র মিলিয়ে দেখবে যে, এসব মিলে কিনা। এটা একটা নরমাল প্রসেস। তারা সেটা তো করবেই।”

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওইদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হয়রানি করছে। আমি নিজেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম।”

কানাডায় বাড়ি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। বিদেশে আমার কোনো বাড়ি নেই।”

আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমসহ বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রতনের বিষয়ে তদন্ত করছে দুদক।

এর আগে গত বছরের ২৪ অক্টোবর দুদক থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।

ওই চিঠিতে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পাওয়ার কথা বলা হয়।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অন্তত ২২টি মামলা করেছে সংস্থাটি।