মন্টুদের সভার বৈধতা নেই: কামাল

দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ নেতাদের একাংশের বর্ধিত সভা ডেকে কাউন্সিলের ঘোষণা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2020, 11:55 AM
Updated : 26 Sept 2020, 11:55 AM

গণফোরামের ব্যানারে শনিবার মন্টু, আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরীদের সভার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

কামাল বলেন, “ওদের কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং বৈধতা নেই এই ধরনের মিটিং করার। এই মিটিংয়ের সাথে আমাদের দল গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই্।

“তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি আমাদের দলের কোনো সিদ্ধান্ত না। যেহেতু এটি আমাদের দলের বিষয় না সেজন্য এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”

গত বছর কাউন্সিলে মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করার পর থেকে গণফোরামে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। রেজা কিবরিয়ার বিপক্ষে দাঁড়ান মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আবু সাইয়িদসহ বেশ কয়েকজন।

এক পর্যায়ে রেজা কিবরিয়া চারজনকে বহিষ্কার করেন। সুব্রত চৌধুরীরাও পাল্টা বহিষ্কার করেন সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়াসহ চারজনকে।

পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্যে গত ৪ মার্চ গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। তিনি নিজে আহ্বায়ক হয়ে সাধারণ সম্পাদক করেন রেজা কিবরিয়াকে।

কামাল হোসেনের সঙ্গে রেজা কিবরিয়া (ফাইল ছবি)

তবে তাতে না দমে শনিবার বর্ধিত সভা ডেকে কাউন্সিল আহ্বান করেছেন মন্টুরা; সভায় তারা রেজা কিবরিয়ার বহিষ্কারাদেশে অনুমোদনও করিয়ে নেন।

তবে কামালের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে মন্টুরা বলেছেন, তাকে ‘ভুল বুঝিয়ে’ নানা সিদ্ধান্ত নেওয়ানো হচ্ছে।  

এ বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, “এসব কথা তারা বলার জন্য বলছে। এটা তাদের একটা কায়দা-কৌশল। এদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। তারাই দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।”

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই যে মিটিংটা হল এটা গণফোরামের মিটিং না।

“সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেউ সভা ডাকতে পারেন না। তারা এরকম সভা করে গর্হিত কাজ করেছেন। এই সভার সাথে গণফোরামের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবারের বর্ধিত সভার পর সংবাদ সম্মেলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু ও আবু সাইয়িদসহ গণফোরামের একাংশের নেতারা।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আবু সাইয়িদ তাদের সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “গঠনতন্ত্রের ১৪ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্টভাবে আছে যে, জাতীয় কাউন্সিলন একবার হয়ে যাওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সময়ে আরেক কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটি দলের সর্বোচ্চ সংস্থা। সেই কেন্দ্রীয় কমিটি মিটিংই হয়নি এতদিন।

“এই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কোনো ব্যক্তির না, আমরা যারা পদবী হোল্ড করি আমাদের না, এই কেন্দ্রীয় কমিটি বর্ধিত সভা, তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নি্য়েছি।”

তবে আবু সাইয়িদরা গণফোরাম থেকে বিযুক্ত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন রেজা কিবরিয়া।

“২৬ তারিখে মিটিংটা করে তারা নিজেদেরকে গণফোরামের থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তারা গণফোরাম থেকে চলে গিয়ে সভা করতে পারেন, কিন্তু গণফোরামকে ক্ষতি করে যাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।”