ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে একথা বলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এই দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এতই পা চাটা হয়েছেন যে তারা আইন-কানুনের পরোয়া করেননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধানের তোয়াক্কা করেননি, তিনি সরকারের এতটাই মোসাহেব হয়েছেন।
“বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আইনে ড. মোর্শেদ হাসান খান ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা যায় না। চাকরিচ্যুত করা যায় একমাত্র শেখ হাসিনার নির্দেশে।”
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, “এভাবে দেশ চালাবেন! কিন্তু কখন যে আপনার সিংহাসন চোরবালির মধ্যে ডুবে যাবে, আপনি টেরই পাবেন না।”
মোর্শেদ হাসান খান ও ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’র উদ্যোগে এই মানবন্ধন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শওকত আজীম।