পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক সরকারি সিন্ডিকেট: রিজভী

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ‘সরকারি দলের সিন্ডিকেটকে’ দায়ী করেছন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2020, 08:49 AM
Updated : 16 Sept 2020, 08:49 AM

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশের বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট কৃত্রিম। আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানছি, গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এই মজুদের কথা।

“আমরা মনে করি, এটাতে সরকারেরও কারসাজি থাকে। সরকার সমর্থিত দলের সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতেই পেঁয়াজের এই মূল্য বৃদ্ধি। বিএনপি পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”

গত সোমবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে বাংলাদেশে একদিনের মধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১০০ টাকায় উঠে যায়।    

অবিলম্বে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক করতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান রিজভী।

তিনি বলেন, “ভারতে ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে প্রেরণ করার সাথে সাথেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে এই সংবাদ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাজার সিন্ডিকেটের হোতারা তেলেসমাতি শুরু করে দেয়।

“পেঁয়াজ আছে। কিন্তু সরকারি দলের সমর্থিত সিন্ডিকেটকে সুবিধা দেওয়ার জন্য, তাদের অর্থ-বিত্ত বাড়ানোর জন্য আজকে কৃত্রিমভাবে এই সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। তাতে কষ্ট পাচ্ছে কে? স্বল্প আয়ের মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষ, মজুর, কৃষক, ভূমিহীন কৃষক- এরা সবচাইতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “এর আগেও সরকার প্রধান নিজেও বলেছেন, পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর কোনো সমস্যা নাই। এই কথা বলার মানে কী? এর মানে হচ্ছে জনগণের সাথে তামাশা করা। সরকার প্রধানের সেই কথাগুলো মানুষ ভুলে যায়নি। যেদিনই বলেছেন তার পরেরদিনই দাম বেড়েছে। গত বছর তিনশ টাকা কেজি হয়েছিল, ফাস্ট সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি, ট্রিপল সেঞ্চুরি তারা করে ফেললেন। জনগণের সাথে এই মস্করাগুলো করেছে সরকার।”

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, ফিরোজ-উজ জামান, আমিনুল ইসলাম, অঙ্গ সংগঠনের শাহজাহান মিয়া সম্রাট, আহসান উদ্দিন খান শিপন, শেখ আব্দুল হালিম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।