সফল আন্দোলনের জন্য মানসিকতা বদলানোর আহ্বান গয়েশ্বরের

আন্দোলন চেয়েও সময় মতো তাতে না থাকলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2020, 10:02 AM
Updated : 2 Sept 2020, 10:02 AM

বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আন্দোলন চাই, সময় মতো আমি নিজে নাই, টেলিফোন বন্ধ। রাজপথে রক্ত দিমু, কর্মীরে বলুম সাবধানে থাইকো- হয় না, হয় না….।

“ঈমান ঠিক করেন, যেদিন বলতে পারবেন, মরতে হয় মরব, গণতন্ত্র আনব, সেদিনই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, সেদিনই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, সেদিনই দেশ মুক্তি পাবে, সেদিনই জাতীয়তাবাদী শক্তি গোলামীর জিঞ্জির ছিঁড়ে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলটির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

সামরিক শাসক এরশাদ ও ওয়ান ইলেভেনের সময়কার সেনাপ্রধান মঈন উ আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, “১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে স্বৈরাচার ক্ষমতায় আসছে, গণতন্ত্র বুটের তলায় চলে গেল, আর শেখ হাসিনা বললেন- ‘আই অ্যাম নট আনহ্যাপি’। গণতন্ত্র চলে গেলে যিনি বলেন, নট আনহ্যাপি, গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীত্ব তার জন্য সুখের। নাউ সি ইজ হ্যাপি। কেবল উইদাউট সাপোর্ট, উইদাউট ভোট সে বার বার প্রধানমন্ত্রী আছে।

“ওয়োন-ইলেভেন কী হল? জেনারেল মঈন উ আহমেদ আসলো। কী কারণে আসলো? তারা (আওয়ামী লীগ) যদি ক্ষমতায় থাকত তারা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারত। তাহলে তারা কী কারণে আন্দোলন করল? লগি-বৈঠা.. অনেক ঘটনা করে মঈন উ আহমদকে আনল । তিনি (শেখ হাসিনা) বিদেশ যাওয়ার সময়ে এয়ারপোর্টে বললেন- ‘তাদের সকল অপকর্মের আমি বৈধতা দেব, সেই দিনই চুক্তি ফাইনাল।”

তিনি বলেন, “সেকারণেই বলছি মঈন উ আহমেদ এবং হুসেইন মো. এরশাদ একই বৃন্তের দুইটি ফুল। এদের রাজনৈতিক জন্ম-ভাবনা একই দেশে, যেই দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা।”

ঢাকা জেলা সভাপতি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, নিপুণ রায় চৌধুরী, তমিজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।