এখন চ্যালেঞ্জ ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’: ফখরুল

বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ করাই এখন তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমানসহ জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতার আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তারা।

সামরিক আইন প্রশাসক থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা জেনারেল জিয়া ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ছয়টি রাজনৈতিক দল ও মতের অনুসারীদের এক মঞ্চে এনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি গঠন করেন।

১৯৮১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত হওয়ার কিছুদিন পর বিএনপির হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। এখন পর্যন্ত তিনিই বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

খালেদার নেতৃত্বে বিএনপি দুই বার সরকার গঠন করলেও এক দশকের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে ‘মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত’ নেতাকর্মীদের হতাশা আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছেন এবার।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “এখন আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই দেশ একাত্তর সালে যে চেতনা নিয়ে সংগ্রাম করেছিল, লড়াই করেছিল, সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা, মানুষের অধিকারগুলেকে ফিরিয়ে দেয়া...।”

বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যে ভয়াবহ একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে, তার বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং জনগণের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।”

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুল করীম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

পরে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের নিয়ে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, বিলকিস ইসলাম, শাম্মী আখতার ও ইশরাক হোসেন।

মহানগর দক্ষিণে কাজী আবুল বাশার, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আবদুল আলীম নকি, যুব দলে মোরতাজুল করীম বাদরু, সুলতানা সালাহউদ্দিন টুকু, মামুন হাসান, এস এম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, হাসান জাফির তুহিন, ইব্রাহিম, মেহেদী হাসান পলাশ, ড্যাবের অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাইদ মো জুয়েল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, কাজী মুনির, জাসাসের লিয়াকত আলী, মীর সানাউল হক, আরিফুর রহমান মোল্লা, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন এ সময়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া বিকালে একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হওয়ার কথা রয়েছে।