১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রকারীরা: তথ্যমন্ত্রী

শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং স্বাধীনতাকে হত্যার চক্রান্তেই ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2020, 03:21 PM
Updated : 29 August 2020, 03:21 PM

শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি বলেন, “যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল, খন্দকার মোশতাকসহ সেইসব বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রকারীরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যাতে বিচার না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দেয়া হয়েছিল, জিয়া সেটাকে ১৯৭৯ সালে আইনে পরিণত করেন। একইভাবে ২০০২ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনা করে প্রায় একশ মানুষ হত্যা করে তার বিচার বন্ধেও ইনডেমনিটি দেয়।

“বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করার, জাতীয় পতাকা ও সংগীত পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেডিও পাকিস্তানের আদলে রেডিও বাংলাদেশ করা হয়েছিল।”

নারী উন্নয়ন বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে নারী অগ্রগতিতে অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। দেশে আজ নারীরা বিচারপতি, সচিব, জেনারেল হয়েছেন, যা আগে কেউ ভাবেনি।

“শেখ হাসিনাই সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে মায়ের নাম উল্লেখ বাধ্যতামূলক করেছেন। কারণ একজন মা কখনও সন্তানকে ছেড়ে যান না। অপরদিকে বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে নিজের ও নিজের বেশভূষার উন্নয়ন ঘটালেও নারী উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।”

মহিলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী বক্তব্য দেন।