বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই শামীম এস্কেন্দার গত মঙ্গলবার এই আবেদন করেন।
আবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা আবেদন এসেছে। সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইনি দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গত ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি দেওয়ার সময় আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছয় মাসের ওই মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। তার আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। তবে বিএনপি নেতারা এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলছেন না।
এ বিষয়ে শামীম ইস্কান্দারকে টেলিফোন করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নো কমেন্ট।”
খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মাহবুবউদ্দিন খোকন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে ‘স্থায়ী জামিন চেয়ে’ আবেদন করা হয়েছে।
খোকন বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা খারাপ। কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না করোনা মহামারীর কারণে। বাসায় ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শ তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার উন্নত চিকিৎসা জরুরি প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।”
জামিনের বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার হলেও শামীম এস্কেন্দারের আবেদনে খালেদার স্থায়ী জামিনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।