ওয়ার্কার্স পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দল ঘোষিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে এই হতাশা প্রকাশ করেন মেনন।
১৯৯২ সালের ১৭ অগাস্ট মেননকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। এবছর দিবসটি পালন উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টি দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।
মেনন বলেন, “বিএনপি-জামাত জোট সরকার ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে বিচারবহির্ভুত হত্যাকে দায়মুক্তি দিয়েছিল। বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ১৪ দল যে লড়াই করেছিল তার অন্যতম দাবি ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা।
“কিন্তু সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলের নামে ওই একই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বহাল থাকায় দেশবাসী কেবল উদ্বিগ্নই নয়, হতাশও বটে।”
মেননের আলোচনায় উঠে আসে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গটিও।
তিনি বলেন, “মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফ অঞ্চলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যেসব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, তা থেকে সাধারণ মানুষের মনে একই প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সন্ত্রাস বা মাদক কোনোটাই নির্মূল হয় নাই বরং বেড়েই চলেছে।
“এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যেমন আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন তার চেয়ে বড় প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ। রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে শিপ্রা দেবনাথকে নিয়ে ‘অপপ্রচার চলছে’ বলেও মন্তব্য করেন মেনন।
“মেজর রাশেদ মো. খান সিনহা হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এক তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল নারী শিপ্রা দেবনাথকে নিয়ে নানামুখী অপপ্রচার চলছে। পুরুষতান্ত্রিক ও আমলাতান্ত্রিক সমাজে শিকার হয়েছেন শিপ্রা দেবনাথ।”
ওয়ার্কর্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনলাইন ভিডিও কলে বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল খালেক, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, ঢাকা মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ফজলুসহ আরও অনেকে।