শুক্রবার বিকালে নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
“১৫ অগাস্টের প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের ভৌগলিক মুক্তির স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একুশে অগাস্টে প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা। দুটি ঘটনার কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এখনও চলছে।”
কাদের বলেন, “পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট ঘটে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, অবলা নারীকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে, টার্গেট করা হয়নি মেহেদি-রাঙ্গা নববধূকে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল আমরা মানুষ হব। সেই মানুষ হওয়ার সংগ্রামে আমরা এখনও লিপ্ত। জানিনা কতটুকু মানুষ হতে পেরেছি। মা’র আশা পূরণ করতে পেরেছি কিনা জানিনা, তার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে কিনা জানিনা, কিন্তু এই সংগ্রাম চলবে।”
মেয়র বলেন, “আমরা শুধু আমাদের পিতা-মাতাকেই হারাইনি, আমি আর আমার বড় ভাই শেখ পরশ, আমরা দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের পিতা-মাতার হত্যাকারীদের বিচারও চাইতে পারিনি। খুনি-কুচক্রী মহল ২১ বছর বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হলে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতাসহ আমাদের পিতা-মাতার হত্যাকারীদের বিচারের সুযোগ তৈরি হয়।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ অগাস্ট শাহাদাত বরণকারী সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।