“এই ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি খালেদা জিয়া সরকার শুরু করেছিল,” বলেন তিনি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ- আইডিইবি আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একের পর এক মৃত্যুর মধ্যে সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সিনহা।
সাবেক সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দুকযুদ্ধের নামে পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় খুন হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।
বিএনপিও অভিযোগ করে আসছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আজকে বিএনপি নেতারা ক্রসফায়ার নিয়ে কথা বলেন! এই ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি বেগম খালেদা জিয়া শুরু করেছিল। তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।”
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় গিয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ চালানোর পর র্যাব গঠন করে। তারপরই ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটি ব্যাপক পরিচিতি পায়; যা এখনও চলছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের দল কোনো ধরনের বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না।”
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পাঁচ মাসের করোনাভাইরাস মহামারীতে অনেক কিছু বন্ধ থাকলেও কেউ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি, আমরা বিদেশে সাহায্য পাঠিয়েছি, এমনকি আমাদের রপ্তানি আয় গত বছরের এই সময়ের থেকে বেড়েছে।
“কিন্তু এসকল উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিএনপি ও তাদের সমমনা যারা চোখ থাকতেও দেখে না, কান থাকতেও শোনে না, তারা যেন আর অন্ধ-বধিরের মতো আচরণ না করে, সেজন্য আমি মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।”
শোক দিবসের এই আলোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে হাছান বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ উঠে সমৃদ্ধির পথে এগোতে শুরু করল, তখন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়।
“বঙ্গবন্ধু তার সব স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি, কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে।”
আইডিইবি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে এই সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস সার্ভিস এসোসিয়েশন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক মো. ফজলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং আইডিইবি সহসভাপতি এ কে এম আবদুল মোতালেব, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, কারিগরী ছাত্র পরিষদের আহবায়ক মেহেদী হাসান।