সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সক্রিয়: কাদের

অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়েই দেশের সমৃদ্ধির সোপান গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2020, 10:23 AM
Updated : 11 August 2020, 10:23 AM

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “ধর্মের নামে আজকাল কিছু বিভ্রান্ত মানুষের অপকর্ম আমাদের ব্যথিত করে। অসহিষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িকতার স্থান পৃথিবীর কোনা ধর্মেই নেই, ধর্মের নামে যারা অধর্ম চর্চা করে, ধর্মকে স্বার্থসিদ্ধির সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চায় এসব তাদেরই হাতিয়ার।যারা সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ কিংবা উগ্রতা চর্চা করে প্রকৃতপক্ষে তারা ধর্মের মূল শিক্ষাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

“শেখ হাসিনা সরকার কথায় এবং কাজে একথা বিশ্বাস করে।আর তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়েই আমরা গড়ে তুলতে চাই এদেশের সমৃদ্ধির সোপান।”

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আঘাত হানে নানা কৌশলে। তাদের অপচেষ্টা এখনও চলছে, তারা এখনও সক্রিয়। বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, থাকতে হবে সচেতন।”

সংখ্যালঘুদের ভয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “মাঝে মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে একটি অশুভ চক্র, একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যে আঘাত হানার অপচেষ্টা করে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, শেখ হাসিনা যতদিন আছেন, আপনাদের কোনো ভয় নেই। আপনারা এদেশের উন্নয়নের অংশিদার। আমরা একই আকাশের নীচে বাস করি, অভিন্ন বাতাসে শ্বাস গ্রহণ করি, অভিন্ন মেঘমালা থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টিতে আমরা ফসল ফলাই। তাই বলব বিভেদের কৃত্রিম প্রাচীর যারা গড়তে অপচেষ্টা করে, তারা সফল হবেনা কোনোদিন।

তিনি বলেন, “শ্রীকৃষ্ণের প্রতিটি উপদেশ আজ এত বছর পরেও প্রাসঙ্গিক। প্রতিটি ধর্মই নীতিবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন মেনে চললে ব্যক্তিজীবন যেমন আলোকিত হবে, তেমনি সামাজিক হানাহানি বন্ধ হয়ে গড়ে উঠবে শান্তিময় মানবিক সমাজ। আসুন আমরা, সে সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করি সবাই সম্মিলিতভাবে।”