যারা মৌলভী সৈয়দকে চেনে না, তারা আদর্শচ্যুত হবে: রেজাউল

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ‘মুজিব বাহিনী’ গঠন করা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত মৌলভী সৈয়দকে ত্যাগী নেতার আদর্শ হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2020, 03:52 PM
Updated : 10 August 2020, 03:53 PM

সোমবার নগরীর আগ্রাবাদে মৌলভী সৈয়দের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল।

তিনি বলেন, “দলের দুর্দিনে বসন্তের কোকিলদের দেখা মেলে না। কিন্তু দলের ত্যাগী নেতারা কখনোই আদর্শচ্যুত হয় না। তাই যদি আমরা ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে না পারি তাহলে একদিন দল ত্যাগী নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে।

“আজকে যারা মৌলভী সৈয়দকে চেনে না তারা একদিন আদর্শচ্যুত হয়ে পড়বে। তাদের কাঁধে হাত দিয়ে যারা হাঁটছে তারা একদিন বিষধর সাপ হয়ে দংশন করবে। ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হতে হবে।”

মৌলভী সৈয়দের স্মৃতিচারণ করে রেজাউল বলেন, “১৯৬৬ সাল থেকে উনার সাথে আমার পরিচয়। তিনি একজন দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা। আজকের ছাত্র নেতাদের সাথে মৌলভী সৈয়দের তুলনা চলে না। সৈয়দ ভাই মারা গেছেন। উনার আদর্শকে জীবিত রাখতে হবে।

“সেই ইতিহাস ও আদর্শকে তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। তা না হলে আজকের তরুণ সমাজ আদর্শচ্যুত হয়ে জাতির বীর সন্তানদের ভুলে যেতে বসবে। আজকের এ সমাবেশে বলে যেতে চাই, চট্টগ্রামের বীর সন্তানদেরকে জাতির কাছে তুলে ধরার জন্য একটি উদ্যাগ নিব।”

মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আকরাম হোসেন সবুজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।

১৯৬৮-৬৯ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মৌলভী সৈয়দ। চট্টগ্রামে অসহযোগ আন্দোলনে ও সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।

১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় অংশ মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার পর প্রতিশোধ নিতে তিনি গঠন করেছিলেন ‘মুজিব বাহিনী’। হন ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলার’ প্রধান আসামি।

ভারতে পালিয়ে গেলেও পরে জোরপূর্বক তাকে বাংলাদেশে ফেরানো হয়। এ সময় গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন মৌলভী সৈয়দ।