জমা-খরচের হিসাব দিতে সময় চেয়েছে বিএনপি

রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০১৯ পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিতে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2020, 04:35 PM
Updated : 4 August 2020, 04:35 PM

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

তারা জানান, বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও গণফ্রন্টও বার্ষিক হিসাব জমা দিতে সময় চেয়ে আবেদন করেছে। জাগপা ও ন্যাপও বুধবার একই আবেদন করতে যাচ্ছে।

নির্ধারিত সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ৩৪টি দল তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব আব্দুল হালিম খান বলেন, “নিরীক্ষা করে এ প্রতিবেদন নির্ধারিত ছকে জমা দিতে হয়। এবার কারা জমা দিল, কারা দিতে পারেনি বা সময় চেয়েছে, এ সংক্রান্ত বিষয় কমিশনের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে।”

ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানান, বিএনপিসহ কয়েকটি দল প্রতিবেদন জমার সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।

ইসিতে বর্তমানে ৪১টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দিতে হয়।

নিবন্ধিত কোনো দল পরপর তিন বছর কমিশনে আর্থিক প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।

২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হবে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের অডিট রিপোর্ট নির্ধারিত সময়ে জমা দিয়েছিল নিবন্ধিত ৩৩টি দল। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছিল ছয়টি দল। তারা ইসির কাছে আবেদন করে সময় নিয়ে পরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।

গত বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২১ কোটি টাকা আয় করেছে। ওই অর্থের সঙ্গে আগের উদ্বৃত্ত মিলে দলটির তহবিলে ৫০ কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে।

একই বছর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করেছে। আর ব্যয় হয়েছে পৌনে দুই কোটি টাকা।

যেসব দল নির্ধারিত ছকে প্রতিবেদন দেয়নি; অডিট ফার্মের স্বাক্ষর, সিলমোহর বা দলের সম্পাদকের স্বাক্ষর পড়েনি- তাদের যথাযথভাবে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।

মহামারীর কারণে অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর ইঙ্গিত রয়েছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা। ২০০৮ সালে দল নিবন্ধন প্রথা চালুর পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনের ছোটোখাটো ত্রুটি সংশোধন ও জমা দেওয়ার জন্য অন্তত ১৫ দিন বা এক মাস সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।