সোমবার এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, “গত শুক্রবার এক সাবেক সেনা কর্মকর্তার অকাল নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনা দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছে।
“আমি এই নির্মম ঘটনার লোক দেখানো তদন্তের বদলে বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
এই ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে তাদের সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে এ বিষয়ে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে গত এক দশকে এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্র লাগাতারভাবে নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।
“মানবাধিকার সংগঠনসমূহের হিসাবে র্যাব ও পুলিশের হাতে ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার লোকের এই ধরনের মৃত্যু ও তার সরকারি যান্ত্রিক-বিবৃতি ইতিমধ্যে জনমনে একটি রাষ্ট্রীয় মিথ্যাচার বলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার সাবেক সেনা কর্মকর্তার এই অকাল নির্মম মৃত্যুর ঘটনাও তাই দেশবাসীকে আবারো ক্ষুব্ধ করেছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন এবং অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানোর জন্য জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি তার যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলবে।”