সজীব ওয়াজেদ দেশে প্রযুক্তি বিপ্লবের নেপথ্য কারিগর: কাদের

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে প্রযুক্তি খাতে যে নীরব বিপ্লব ঘটেছে, সজীব ওয়াজেদ জয় তার নেপথ্য কারিগর বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2020, 02:20 PM
Updated : 26 July 2020, 04:52 PM

রোববার দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণের প্রাণে স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। টেক বিশ্বে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রযুক্তি আর কনটেন্ট, তরুণদের হাতে তিনি দিচ্ছেন নব নব আইডিয়া। এই মেধাবী তারুণ্যের হাত ধরেই সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ পৌঁছাবে নতুন উচ্চতায়।

“দেশের যোগাযোগ প্রযুক্তি বদলে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অবয়ব কী এখন আর কাউকে বোঝাতে হয় না। হাতের মোবাইলের বাটনে এখন বিশ্ব যোগাযোগের পথনকশা। আমাদের আইসিটি সেক্টরে যে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে তার প্রমাণ করোনাকালে অব্যাহত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘরে বসেই জীবন যাপনের সকল উপাদান সচল করে রেখেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অব্যাহত উন্নতির কল্যাণে। এটাই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারিশমা। আর এই আইসিটির সক্ষমতার রূপকার স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়।”

‘সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনের পর্যায়ক্রম ও কৌশলগত দিক সচিত্র উঠে এসেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কিভাবে একটি দেশ বদলে যাচ্ছে, অর্জন করছে সক্ষমতা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ বিশ্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ অর্জনের রোল মডেলে স্বীকৃত, তার বিচক্ষণ সাহসী নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এই গ্রন্থ।”

৫০তম জন্মদিনে সজীব ওয়াজেদ জয়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান সেতুমন্ত্রী। একই সঙ্গে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও গ্রন্থের প্রকাশক জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এবং গ্রন্থের সম্পাদক আশরাফুল আলম খোকন ও গ্রন্থের পরিকল্পনাকারী ইয়াসিন কবির জয় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ- এমন একটি রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ যিনি বাস্তবায়ন করেছেন, রূপকল্প দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তিনি তরুণ প্রজন্মের গর্ব, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়।

“গত ১১ বছর ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসা, আমাদের তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং সরকারের ডিজিটাল সেবাগুলো মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে আইসিটি শিল্পের জন্য যে অবদান রেখেছেন, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই গ্রন্থে।

“দেশের তরুণদের কাছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের যে ভিশন-মিশন, তার যে ভবিষ্যত পরিকল্পনা; সেটি তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার যে মেধা, প্রজ্ঞা, পরিশ্রম, কর্মকাণ্ড পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।”

জয়ীতা প্রকাশনী বলছে, তরুণসমাজের আগ্রহের কারণে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিনে বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত হল ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ বইটির তৃতীয় সংস্করণ।

বইটি জয়ীতা প্রকাশনী থেকে প্রথম মুদ্রিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে। ২০০ পৃষ্ঠার বইটিতে ছিল ১৬টি নিবন্ধ। তৃতীয় সংস্করণে যুক্ত হয়েছে আরও ১০০ পৃষ্ঠা। এতে ২০১৫ থেকে ২০২০ সময়কালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কর্মোদ্যোগ যুক্ত হয়েছে, যার ফলে মোট নিবন্ধের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭তে।

তৃতীয় সংস্করণে নতুন শতাধিকসহ মোট তিন শতাধিক ছবি রয়েছে। এছাড়া জয়ের শৈশবের বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র বইয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে, যা দুর্লভও।

বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ মস আরেফিন সিদ্দিক। প্রচ্ছদ ও অঙ্গপরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ। এটি পাওয়া যাবে ২০-২১ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ জয়ীতা প্রকাশনীর কার্যালয়ে।