পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলে উদ্যোগী তার প্রতিদ্বন্দ্বী

কুয়েতে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিল চেয়ে উদ্যোগী হয়েছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভুঁইয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2020, 05:36 PM
Updated : 16 July 2020, 05:41 PM

২০১৮ সালের ওই নির্বাচনে পাপুলের মতোই স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়েজের অভিযোগ, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হলফনামায় ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছেন পাপুল।

বৃহস্পতিবার এ নিয়ে স্পিকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি। তাতে আগামী তিন দিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সদস্য পদ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

ভোটের সময়ও পাপুলের প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছিলেন সিংহ প্রতীকের প্রার্থী ফয়েজ।

জানতে চাইলে ফয়েজ ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাপুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা যা মনোনয়নপত্রের সময় হলফনামায় দিয়েছে, তা মিথ্যা। তার এইচএসসি ডিগ্রি নাই, অথচ সে দিয়েছে স্নাতক, যা বানানো। হলফনামায় বলেছে স্নাতকোত্তর।”

আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ওই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পাপুল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির আবুল খাযের ভূইয়া ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ৬৫ ভোট।

৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তার প্রতিকার চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, ইসি ও আদালতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিএনপির নেতা ফয়েজ।

তিনি বলেন, “আমি আগেরবার কোনো প্রতিকার পাইনি। তখন পাপুলের সব ছিল। এখন পাপুলের ক্ষমতাও নাই, হুমকি-ধমকিও নাই, অর্থও নাই। ক্ষমতাসীন দলও তার নেই; স্বতন্ত্র সাংসদ সে। এজন্য এখন নতুন করে স্পিকার ও ইসির কাছে আবেদন জানিয়েছি। আইনি নোটিশ দিয়েছি; এরপর উচ্চ আদালতে যাব।”

ভোট শেষ হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে ইসির দৃশ্যত করার নেই জেনেও আদালতে যাওয়ার সুবিধায় এ আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফয়েজ।

সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করে আনেন তিনি।

মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।