শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, "আমি দেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ মাঠ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাব, সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সীমিত সংখ্যক পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিন।”
সড়ক মহাসড়কের পাশে পশুর হাট না বসানোর নির্দেশনা দিয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পশুর হাটের সংখ্যা কমলে কেনাবেচায় বাড়তি চাপ তৈরি হবে। এই চাপ মোকবিলায় ডিজিটাল প্লাটফর্ম হতে পারে বিকল্প।
"তাই অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় জনপ্রিয় করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে যেহেতু বড় আকারের লেনদেন জড়িত, তাই মনিটরিং করতে হবে যাতে ক্রেতা বা বিক্রেতা কোনোভাবেই প্রতারণার শিকার না হয়।
"অনলাইনে বাজার বিশ্বাস ও আস্থার উপর নির্ভরশীল। সে কারণে বেচাকেনা সহজতর এবং ক্রেতা বিক্রেতাবান্ধব করতে হবে। লেনদেনে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি।”
করোনাভাইরাসের মধ্যে যারা পরীক্ষাসহ নানা অনিয়ম করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এ কথা সত্য যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় সম্প্রতি দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা মানুষকে বিস্মিত করেছে। মানুষের জীবন-মরণ, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কিংবা অসুস্থতা নিয়ে এমন প্রতারণা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ।
“আমি আরও মনে করিয়ে দিতে চাই, শেখ হাসিনা সরকার কোন অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়নি, দিবেও না।"
তিনি বলেন, "দুর্নীতি যেখানেই হবে সেখানেই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের স্বাধীনতা দুদকের রয়েছে। এমনকি আমার নিজের মন্ত্রণালয়েও যে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকের প্রতি কোন বাধা নেই।”
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে না থাকায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি মহাসচিব বরাবরের মত অভিযোগ করেছেন, জনগণের জীবন-জীবিকার উপর সরকারের নাকি কোনো দায়-দায়িত্ব নেই।
"আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, জীবন-জীবিকা সচল রাখতে শেখ হাসিনা সরকার যখন নানামুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন আপনারা সমালোচনা করেছিলেন কেন? লকডাউনের জন্য চাপ তৈরি করে এখন তিনি জনগণের জীবন-জীবিকার কথা বলছেন। বিএনপির সুবিধাবাদী রাজনৈতিক চরিত্র এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ইতোমধ্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
“আপনারা তো বলেছিলেন, রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মরে পড়ে থাকবে, সেটি হয়নি বলে কি আপনাদের গাত্রদাহ? সরকার সীমাবদ্ধতার পরও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করছে। আপনারা বিষোদগার ছাড়া এই সংকটে কি করেছেন? সরকারকে কী সহযোগিতা দিয়েছেন জনকল্যাণে?”