লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি, সরকার নির্বিকার: বিএনপি

দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় পানিবন্দি হয়ে পড়া লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি নিরসনে সরকারের কোনো তৎপরতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2020, 08:12 AM
Updated : 11 July 2020, 08:25 AM

শনিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব একথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের অভিঘাতে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে ধেয়ে আসা বন্যার কবলে পড়ে জনজীবনে এখন চরম ভোগান্তি। অবিরাম বর্ষণে মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় গৃহপালিত গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে মানুষ।

“কিন্তু বন্যাকবলিত এলাকায় সরকার সম্পূর্ণরূপে নির্বিকার। উপদ্রুত মানুষের সাহায্যে তাদের কোনো তৎপরতা নেই।”

বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের বাঁচাতে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান বিএনপি মহাসচিব।

বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে রিজভী বলেন, দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে-লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের শত শত কিলোমিটার সড়ক বিপর্যস্ত হয়ে কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর শহরও এখন বিপদজ্জক অবস্থায়; ফরিদপুরসহ মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

“ভারতের গজলডোবায় সবকটি গেট খুলে দেওয়ায় এবং বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধায় হু হু করে বন্যার পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।”

রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার মোহাম্মদ সাহেদের দৌরাত্ম্যের পেছনে সরকারের মদদ রয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সাহেদ চক্রের দৌরাত্ম শুধুমাত্র নগদ অর্থ কেলেংকারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এরা মানুষের জীবন নিয়েই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছিল। করোনা পরীক্ষার নকল সনদ দিয়েছে। তাদের এই ব্যবসার বলি হচ্ছে জনগণ

“বর্তমান আমলে দুর্নীতি-অনিয়ম-চুরি-বাটপারি এখন যেভাবে নির্বিঘ্নে অবাধ হয়েছে, আওয়ামী শাসন ব্যতিরেকে পরিস্থিতি কখনোই এমন ছিল না। সাহেদরাই বর্তমান আওয়ামী শাসনের নমুনা। করোনঘাতে মানুষ চিকিৎসাবঞ্চিত; প্রতিদিন মারা যাচ্ছে মানুষ। এই দুর্বিসহ সংকটের মধ্যেও চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নামে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারি দলের লোকেরা।”

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন হয়।