এবার শুদ্ধি অভিযান স্বাস্থ্য খাতে: কাদের

অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযান এবার স্বাস্থ্য খাতে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2020, 11:23 AM
Updated : 9 July 2020, 11:23 AM

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল ‘সিলগালা’ এবং এর চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আলোচনার মধ্যে একথা বললেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, যে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। সততা ও নিষ্ঠার প্রতীক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। তিনি নিজ থেকেই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করেছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে যারা বা যে অশুভ চক্র প্রতারণা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।”

চিকিৎসা সেবায় অনিয়মের ঘটনাগুলো বাইরে থেকে কেউ ধরিয়ে দেয়নি, বরং সরকার নিজ উদ্যোগে অনিয়ম রুখতে ‘কঠোর অভিযান’ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন এই মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশেষ করে হাসপাতাল, নমুনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ, প্লাজমা ডোনেশন, সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ অন্যান্য খাতের সাথে স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে, অব্যাহত থাকবে। অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই। যত ক্ষমতাধর হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। যারা জনগণের অসহায়ত্ব নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে, প্রতারণা করছে, শেখ হাসিনা সরকার তাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতিতে অটল।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “করোনা সঙ্কটের শুরু থেকে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ অসহায়, কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্থাপন করেছে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত, মাটি ও মানুষের দল হিসেবে দেশের যে কোনো দুর্যোগে সবার আগে ছুটে যায় আওয়ামী লীগ। অসহায় মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ঐতিহ্য।”

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পর দেশব্যাপী প্রায় ‘সোয়া এক কোটি’ পরিবারের মাঝে দলীয়ভাবে খাদ্য সাহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘সাড়ে ১০ কোটি টাকার বেশি’ নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য ও নগদ সহায়তা ছাড়াও অন্যান্য সহায়তা বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবায় সুরক্ষা সামগ্রী, টেলিমেডিসিন, অ্যাম্বুলেন্সসহ নানাবিধ উপায়ে মানুষের সাথে আছে আওয়ামী লীগ।

“কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এখন বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে আছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। আমি দুর্গত এলাকার মানুষকে সহায়তার জন্য আবারও দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।”

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের বলেন, “করোনা সঙ্কটের পাশাপাশি বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের সুরক্ষা সরকারের জন্য নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। আপনারা জানেন, এ বছর নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আমাদের আছে সঙ্কটের সাহসী ও মানবিক নেতৃত্তের দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তিনি দুর্যোগকালে মানবিকতার আধার ও আস্থার ঠিকানা।

“শেখ হাসিনা সব সময় অসহায় মানুষের পাশে আছেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের সুরক্ষা মানবিক সহায়তা প্রদানে ইতোমধ্যে তিনি দিয়েছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। এর পাশাপাশি বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই শুরু হবে পুনর্বাসন কার্যক্রম। গ্রামীণ অবকাঠামো, কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সহায়তাসহ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নেওয়া হচ্ছে গুচ্ছ পরিকল্পনা। আপনারা মনোবল হারাবেন না, মনে সাহস রাখুন।”