উপনির্বাচন: ব্যালটে ধানের শীষ না রাখার দাবি বিএনপির

করোনাভাইরাস মহামারীতে আটকে থাকা বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর ব্যালট থেকে ধানের শীষ প্রতীক বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2020, 12:30 PM
Updated : 7 July 2020, 02:03 PM

মঙ্গলবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে দলের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে গিয়ে এই দাবি জানিয়ে আসেন।

তবে তাদের সঙ্গে কথা বলার পর ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হয়ে যাওয়ায় ব্যালটে এখন প্রতীক বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক ও আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে শূন্য এই দুটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। বিএনপি তখন প্রার্থীও দিয়েছিল।

কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২১ মার্চ ইসি নির্বাচন দুটি স্থগিত করে। ক’দিন আগে ইসি জানায়, আগামী ১৪ জুলাই এ দুটি উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।

তবে বিএনপি এই সময়ে ভোটগ্রহণে আপত্তি তুলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরই প্রতিনিধি দল পাঠাল ইসিতে।

বিএনপির বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন ইসিতে চিঠি দেওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের চিঠি পৌঁছে দিয়েছি কমিশনে।

“সেই সঙ্গে বলেছি, যেহেতু ভোটে থাকব না আমরা, ব্যালটে যেন প্রতীকও না থাকে। ব্যালটে ও ভোটে না থাকার বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি দুর করতেই এ দাবি করা হয়েছে।”

এক্ষেত্রে আইনি জটিলতা থাকলেও ইসি সচিব বিএনপির দাবি কমিশনে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান মোশারফ।

পরে ইসি সচিব আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো কিছু পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। ব্যালটে সব প্রার্থীর ছবি ও নাম থাকবে।”

এই সময়ে ভোট আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, “সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই এ উপ নির্বাচন হচ্ছে।”

ভোট পেছাতে বিএনপি প্রার্থীর আবেদন

বগুড়া-১ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির নির্বাচন পিছিয়ে দিতে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বগুড়া প্রতিনিধি

জাকির সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার জেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই আবেদন করেন তিনি।

কারণ হিসেবে জাকির বলেন, “করোনা মহামারী এবং ভয়াবহ বন্যায় এখন ভোটের কোনো পরিবেশ নেই। করোনার সময়ে গণসংযোগ, সভা, প্রচারণায় যদি জনগণ করোনায় আক্রান্ত হয় এবং মারা যায়, এর দায় কে নেবে?

“করোনা তো আছেই তারপরও এই আসনের ৮টি ইউনিয়ন যমুনার চরে, বন্যায় ভাসছে। ১৪টি ভোট কেন্দ্রে পানি উঠেছে। অনেক ভোট কেন্দ্রের চারিদিকে পানি।”

এর মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাকির বলেন, “আসলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিনা ভোটে জেতানোর একটা কৌশল।”

তবে নির্বাচন পিছিয়ে দিলে তাতে অংশ নেবেন বলে জানান তিনি।