৩৩% নারী প্রতিনিধিত্বের বিধান ‘শিথিল করা যাবে না’

রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব ৩৩ শতাংশ নিশ্চিতে বিদ্যমান নির্বাচনী বিধান বাতিল না করে বরং সময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে দুটি দল ও সংগঠন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2020, 07:36 PM
Updated : 5 July 2020, 07:36 PM

নির্বাচন কমিশনের বর্তমান উদ্যোগের সমালোচনা করে এই পরামর্শ দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

গণপ্রতিনিধি আদেশের (আরপিও) ৯০ (এ) থেকে ৯০ (আই) পর্যন্ত অনুচ্ছেদ নিয়ে এখন আলাদাভাবে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন’ নামে বাংলায় নতুন একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে অংশীজনদের মতামত চাওয়া হয়েছে।

বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০-এর খ-এর খ (২) অনুচ্ছেদে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ পদ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং ২০২০ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন পাওয়া অধিকাংশ দল এখনও তা পূরণ করতে পারেনি।

নতুন আইনের খসড়ায় রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রাখার শর্ত পূরণে দলগুলোকেই তাদের গঠনতন্ত্রে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।

রোববার সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশো এবং সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আরপিও বিধান থেকে রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার বিধান তুলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।

“এ বিধান বাতিল বা শিথিল করা যাবে না, প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়াতে হবে এবং বাস্তবায়নের জন্য রোড ম্যাপ প্রণয়ন ও মনিটরিং থাকতে হবে।”

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন সংশোধনের উদ্যোগ দায়িত্বহীন, অবিবেচনাপ্রসূত ও উদ্দেশ্যমূলক। এই উদ্যোগ অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান পরিপন্থি।

“মহামারী দুর্যোগের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ অবিলম্বে স্থগিত করুন। দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যদের বাধ্যবাধকতা বাতিল করা যাবে না।”

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ৭ দফা মতামত ও প্রস্তাব তুলে ধরেছে, যাতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ৫ থেকে ১০ বছরের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, ঢাকা মহানগর নেতা জোনায়েদ হোসেন।